statcounter

Saturday, June 25, 2016

অ্যান ইউসুয়াল ল্যাব আউটিং (An usual lab outing)

এরকম বহুবার হয়েছে লাষ্ট ৬ বছরে, কিন্ত ু তখন ব্লগ ছিলনা তাই লেখার প্রয়োজনও ছিলনা। আর তখন এই ল্যাবের দিনগুলো দ্রুত বেগে শেষ হয়ে যাচ্ছিলনা। তাই এটা একটা এসেনশিয়াল ল্যাব সংক্রান্ত পোষ্ট, যেটা পড়ে ভবিষ্যতে আমার লজিক-নষ্ট হবে।

দেশ এবং হয়ত কাল নির্বিশেষে গ্রাজুয়েট স্ট ুডেন্টদের মধ্যে  যা যা মিল পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হল পারপিচুয়াল হাঙ্গার---- না না জ্ঞানের ক্ষুধার কথা আমি বলছি না। তা নিশ্চয় আছে বেশির ভাগের মধ্যে, সবাই তো আমার মতন নয়। আমি বলছি নেহাতই পাতি শারীরিক ক্ষুধার কথা, যাকে মেটানোর জন্য এত পড়াশুনা, পরীক্ষা দেওয়া, চাকরি করা এবং তিন বেলা পাত পেড়ে খেতে বসা। তবে এই খাবার ইচ্ছেটা অনেক সময় মানসিকও বটে। অনেক সময় বলাভুল কারণ প্রথমত শরীর আর মন দুটো আলাদা একেবারেই নয় আর ভাল খাবার খেলে যে পরিমাণ মানসিক তৃপ্তি আসে, যাকে আজকাল বলা হচ্ছে গ্যাস্ট্রোইনস্টেটিনাল প্লেজার সেটা অতীব সাঙ্ঘাতিক একটা এক্সপিরিএন্স। আর মন ভাল না থাকলে কাজ ভাল কি করে হবে!

তাই  বাইরে খাওয়া চলতেই থাকে, কারণ ক্যান্টীন তো এখন প্রায় বাড়ীর মতন। আর মানুষের তো তিনটে হাত-- ডান, বাম আর অজুহাত। তাই বাইরে খেতে যাবার কারণের অভাবও হয়না কখনো।
এক্সপেরিমেন্ট কাজ করার আনন্দ বা না করার দুঃখ, পেপার পাঠানো, অ্যাক্সেপ্টেন্সের কিংবা রিজেক্টেড হবার সেলিব্রেশন ( বস বলেছে ওয়ান শুড সেলিব্রেট দেয়ার ফেলিওর টূ), অনেক দিন যাইনি, বা আজকে ল্যাব যেতে/ কাজ করতে ইচ্ছে করছে না--খেতে গেলেই হয়----- রিজনের লিষ্টটা এন্ডলেস। আর যেতে না পারলে অর্ডার করলেই হল।

সেই যে ২০১০ এ কাফিলা যাওয়া থেকে শুরু হয়েছিল, সেই ্ট্র্যাডিশন বজায় রেখে, বস সমেত অথবা ছাড়া (কারণ বিভিন্ন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মিটিং এর ব্যস্ততা); আমরা জয়যাত্রায় যাচ্ছি এরকম হাবভাব নিয়ে ফুড আউটিং চালাতে থাকি। তবে রিসেন্ট ২৯ মে যেটা হল সেটা রু এর অ্যচিভমেণ্টের সেলিব্রেশন--- আর ট্রিটও জয়-অধিকারীনির পক্ষ থেকে। তাই বাকিরা নাচতে নাচতে গেলাম, বস গেলেন না;  হরলিক্সের বাচ্চার মতন  "আমি খুব বিজি বলে"।

যাওয়া হল ল্যাবের কাছেই চাওম্যানে--সেফ, ট্রায়েড অ্যান্ড টেস্টেড। দুপুর ১ টায় পুরো রিক্সাহীন রাস্তায় কিছুক্ষ্ণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে ভগবান প্রেরিত ভাবে একটা ব্যাটারি চালিত রিক্সা- অটোর সংকর বস্ত ুউদয় হল। নাকি পাঁচজন চড়তে পারে--- সাঙ্ঘাতিক ওভার এস্টিমেশন সেটা। তবে যাদের মন্শচক্ষে ৫/৭ মিনিট রিক্সায় ঝোলার ইন্সট্যান্ট রিওযার্ড হিসাবে চাইনিস নাচানাচি করছে , -- তাদের কাছে এ আর এমন কি কঠিন কাজ।

রৌদ্র করোজ্জল দিন  



হাইব্রিড ব্যাটারি রিক্সাতে আমরা


দেখে যতটা সিম্পল মনে হচ্ছে ব্যাপারটা তার চেয়ে জটিল। রিক্সায় দুরকম সিট--- নর্মাল ফর অ্যাডাল্ট আর টাইনি ফর কিডস (মেরে কেটে ১০/১২ বছরের বেশি নয়)। নর্মাল সিটেও আমাদের মতন হেভি ওয়েটদের দুজন ধরে। তাতে ৩ জন আর কিডস সিটে ২ জন (পা বাইরে ঝুলিয়ে বসে রয়েছে)। আর চালাও পানসী থুড়ি রিক্সা চাওম্যান।


বৃথা বাক্যব্যয় করে লাভ নেই, কি কি খেলাম তার ছবি দিচ্ছি।

চিকেন লেমন করিয়েন্ডার স্যুপ (chicken lemon coriander soup)

সি ফুড স্যুপ (sea food soup)

স্টাইর ফ্রায়েড চিকেন (stir fired chicken)
ক্রিপসি কনজী চিকেন (crispy conjee chicken)

চিকেন মোমো (chicken momo)
সিঙ্গাপুর মেফুন আর ফিশ ইন সুইট অ্যান্ড সাওয়ার সস (Singapore meifoon and chicken in sweet and sour sauce)
বেরোনার সময় বৃষ্টি এসে গেল--তাই জি এর আর শর্মা গিয়ে গোলাপ জামুন খাওয়া হল না। অটো করে ল্যাব ফেরা হল।


এত খাবার খেয়ে চা/ কফি না হলে কি করে কাজে মন বসবে।

VECC  যাওয়া হচ্ছে (সাদা জামাতে বস)


মেঘলা বিকেলে  SINP এর গেট

 র‍্যান্ডম
কেউ গেল সাতসমুদ্রের পারে পোস্টার দিতে আর বাকিরা বাড়ীতে বসে পা দোলাল আর ক্যাডবেরি খেল যত খুশী


দিনটা ভালো কাটল। ইউসুয়াল ও ভালো , লম্বা হোমস্টের পরে তো সুপার ভাল।
                                           

2 comments: