দিগন্ত বিস্তৃত
খোলা মাঠ। মাঠের পাশে রাস্তা, রাস্তার ধারে পাইনের সারি। উল্টোদিকে অনেক দূরে
ইউক্যালিপটাসের
বন। হাওয়ার শোঁ শোঁ শব্দ।
মাঠের শেষে একটা
বড় দীঘি, তার পাশে জলের
ট্যাঙ্ক।
কালচে নীল আকাশ।
আর মাঠে একটা গেট।
বেশ শক্তপোক্ত লোহার গেট, তুঁতে রঙের।
গেট কিসের? মাঠে ঢোকার
নিশ্চয়।
ওহো মাঠে পাঁচিল
দেওয়া!!!
নাতো পাঁচিল তো
নেই। তাহলে গেট কিসের?
এই প্রশ্নটা আমরা
একজন আরেকজন কে করছিলাম।
unfinished construction হবে---বলল একজন।
আমাদের সাধারণ যুক্তিতে তাই হয়।
কিন্ত ু উত্তর জানা ছিল
না।
দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠের মধ্যে একটা গেট কেন----- প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল।
গেটটা দিক্ নির্দেশ
করছিল অন্য কোথাকার, মাঠের মধ্যে দিয়ে কিন্ত ু আবার মধ্যে দিয়ে নয়।
"কিরে গেটটা দিয়ে ঢুকবি
নাকি?"--- অ আ কে জিজ্ঞেস
করছিল।
"ঢুকবো!! যদি ফিরতে
না পারি!!" ---মনে মনে বলছিল দুজনে; অন্যরা শুনতে পারছিল না।
ইউক্যালিপটাসের বন
থেকে হাওয়ার শোঁ শোঁ শব্দ আসছিল।
রাত বাড়ছিল, পূর্ণিমার চাঁদের
আলোয় ভেসে যাচ্ছিল চারদিক।
কোথাও কেও নেই, মনে হচ্ছে পুরো
ভ্যালিতে শুধু আমরা ছজন দাঁড়িয়ে আছি--- মোমের মতন গলে
যাচ্ছে রাস্তা
ঘাট--- ঝিম ধরে আছে চারদিকে, শুধু অনেক দূরে হোটেল এর আলো জ্ব্লছে।
এ পৃথিবীর শেষ স্টেশনে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম, সামনে মাঠ, পাঁচিলহীন---তাতে
একটা তুঁতে রঙের গেট, একটা অন্য পৃথিবীতে যাবার রাস্তা।
All image courtesy :Shounak
সকালে মাঠের একদিকের ছবি
ইউক্যালিপটাসের বন
নেতারহাট ভ্যালি
তুঁতে রঙের গেটের ছবি নেই।
অন্য গেট