statcounter

Thursday, May 5, 2016

সহযাএী

সারাজীবন বাড়ির পাশে স্কুল কলেজ (ইউনিভা্রসিটির ২ বছর বাদ দিয়ে) করেছি। লাস্ট ইয়ার যখন বাড়িবদল হল তখন বাস এ  ল্যাবের দূরত্ব ৩০ মিনিটের। সেই বাস যাএা নিয়ে এবারের লেখা।

৩০ মিনিটের এর জার্নিতে কি আর ঘটবে, কিন্ত আমার ঘটত। বাস এ উঠে সবার মুখের দিকে চেয়ে বুঝতে চেষ্টা করতাম কে আগে নামবে। কার না কার দয়া হত, বেশির ভাগ সময় বয়স্ক লোকদের আর আমি সিট পেতাম। একবার এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা, তিনি আমাকে বললেন উনি নেবে গেলে ওনার সিটটায় আমি বসতে পাব, এদিকে আমার স্টপ তার একটু পরেই। ভীড় থেকে একটু দূরে গিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম। ভদ্রমহিলা এর স্টপ আসতে আমাকে প্রায় ঘাড় ধরে সিটে বসিয়ে দিলেন, আমার সব আপত্তি অগ্রাহ্য করে। সামনে দাড়িয়ে  থাকা মেয়েটি কে বসতে দিলেন না, আমাকে নাকি প্রমিস করেছেন। বাকিরা শুনে বলেছিল তাদের সঙ্গে এরকম হয় না। 

আমার এক বন্ধ ু বলল আমার মুখ দেখেই নাকি মনে হয় আমার সাহায্য দরকার---করুণা উদ্রেককারী যাকে বলে। জানিনা এরকম চশমা আঁটা গো্ল গোমড়া মুখ দেখে কি করে করুণা হয়, আমার তো হয় না।

তবে একবার বড্ড ঝামেলায় পড়েছিলাম। বাস এ বসে online এ জিনিস অর্ডার দিচ্ছি, পাশের জন জানতে চাইল কি করে online শপিং করে। বুঝিয়ে বললাম। তারপর তিনি আমি কি করি জিজ্ঞেস করার ভদ্রতটা করেই নিজের গল্পে চলে গেলেন। আমার অসুবিধা ছিলনা শুনতে কিন্তু গল্পটা হল ওনার বাগদত্তা বিদেশ চলে যেতে চাইছে P.hD করতে যেটায় ওনার আপওি। শুনে গা জ্বলে গেল, এরকম পেটখোলা লোকের বাগদত্তার কি হাল ভেবে হাসি ও পেল। বাকি রাস্তাটা কখন পোঁছাবো ভেবে কানটা বন্ধ করে কাটালাম। এটা কিসের ফল কে জানে। 





2 comments:

  1. This blog reminds of my days in Kolkata - and the long bus rides. I also tried to guess who would get down first- just to get that precious seat :) Well written girl! keep going

    ReplyDelete