statcounter

Friday, June 2, 2017

আ পার্ট অফ মি


সময় থেমে থাকে না। দেখতে দেখতে কেটে যায় ঘন্টা- দিন-সপ্তাহ-মাস-বছর। জমতে থাকে টুকরো টুকরো হাসি কান্না রাগ অভিমান সাফল্য ব্যর্থতার মুহূর্তগুলো। ফোর্থ ফেজ এর কমন ল্যাবে সারাদিনের হৈচৈ,টিস্যু কালচার- ডার্করুম -কনফোকালের বুকিং এর তাড়াহুড়ো; তার মধ্যে দিনে তিন বার ক্যান্টীনের চা আর খাবার; না আসা অথবা উল্টো আসা রেজাল্ট, ছাদের সিঁড়িতে আড্ডা; শনিবারের বিকেল মোমো খেতে যাওয়া আর মাঝে মাঝে মূর্তিমান ঝঞ্ঝাটের মত জার্নাল ক্লাব আর ডেটা প্রেসেন্টেশন। আর অনেকে মিলে হঠাৎ করে বেড়াতে চলে যাওয়া দার্জিলিং-কালিম্পং, গোপালপুর বা নেতারহাট কিংবা অল গার্লস' ট্যুরে মন্দারমণি বা তালসারি--- সব জমা হয় স্মৃতির খাতায়।
কাজের কথা আস্তে আস্তে শিফট হয়ে যায় মনের কথায় ; বিজ্ঞান থেকে সাহিত্য-সিনেমা ঘুরে ব্যাক্তিগত পরিসরে। তৈরী হয় একটা আনপ্যারালাল বন্ধুতের।  
সাত বছর থাকলে চেনা হয়ে যায় বারান্দার রেলিং, বুড়ো কুকুর আর তার ছেলেপিলের সঙ্গে।  জানা হয়ে যায় পলাশ- কৃ্ষ্ণচূড়ার ফুলের আনাগোনার সময়, শালের গাছের পাতা ঝরার পরে ন্তুন পাতা আসার দিনক্ষণ।

এসবের মধ্যে আস্তে আস্তে টপকে যায় একটা একটা মাইলস্টোন; পেপার- পাঁচ হাজার- থিসিস- ডিফেন্স। বদলে যায় ফোর্থ ফেজ এর মুখগুলো; আগে যারা পাশে বসতো তারা এখন হাজার মাইল দূরে--- স্কাইপ আর হোয়াটস্ -আপে।

সাত বছর--- সময়টা নেহাত কম নয়। যা কিছু নতুন শিখলাম- জানলাম--- সব কিছুর মধ্যে নিজেকে চিনতে শিখলাম; সাহা ইন্সটিট্যুট এ না এলে এগুলো এভাবে নিশ্চয় বুঝতাম না।
সব  বন্ধুরা চলে গেছে-- অন্য শহরে - অন্য অন্য দেশে; এবার আমার ও যাবার পালা--- নুতন করে শুরু করার সময়।

সাত বছর --সময়টা আসলে বেশ কম। চোখের পলকে কেটে যাওয়া----ভালো-মন্দ মেশানো সহজ- কঠিন মুহূর্তগুচ্ছ। 

ল্যাব থেকে যতই দূরে চলে যাই না কেন; মনের ভিতরে জ্ব্ল জ্ব্লে হয়ে থাকবে এই সময়টা আর স্মৃতিগুলো।
No matter how far I go, you will always be in my heart-----you will always be a part of me.

+