সময় থেমে থাকে না। দেখতে দেখতে কেটে যায় ঘন্টা- দিন-সপ্তাহ-মাস-বছর। জমতে থাকে টুকরো টুকরো হাসি কান্না রাগ অভিমান সাফল্য ব্যর্থতার মুহূর্তগুলো। ফোর্থ ফেজ এর কমন ল্যাবে সারাদিনের হৈচৈ,টিস্যু কালচার- ডার্করুম -কনফোকালের বুকিং এর তাড়াহুড়ো; তার মধ্যে দিনে তিন বার ক্যান্টীনের চা আর খাবার; না আসা অথবা উল্টো আসা রেজাল্ট, ছাদের সিঁড়িতে আড্ডা; শনিবারের বিকেল মোমো খেতে যাওয়া আর মাঝে মাঝে মূর্তিমান ঝঞ্ঝাটের মত জার্নাল ক্লাব আর ডেটা প্রেসেন্টেশন। আর অনেকে মিলে হঠাৎ করে বেড়াতে চলে যাওয়া দার্জিলিং-কালিম্পং, গোপালপুর বা নেতারহাট কিংবা অল গার্লস' ট্যুরে মন্দারমণি বা তালসারি--- সব জমা হয় স্মৃতির খাতায়।
কাজের কথা আস্তে আস্তে শিফট হয়ে যায় মনের কথায় ; বিজ্ঞান থেকে সাহিত্য-সিনেমা ঘুরে ব্যাক্তিগত পরিসরে। তৈরী হয় একটা আনপ্যারালাল বন্ধুতের।
সাত বছর থাকলে চেনা হয়ে যায় বারান্দার রেলিং, বুড়ো কুকুর আর তার ছেলেপিলের সঙ্গে। জানা হয়ে যায় পলাশ- কৃ্ষ্ণচূড়ার ফুলের আনাগোনার সময়, শালের গাছের পাতা ঝরার পরে ন্তুন পাতা আসার দিনক্ষণ।
এসবের মধ্যে আস্তে আস্তে টপকে যায় একটা একটা মাইলস্টোন; পেপার- পাঁচ হাজার- থিসিস- ডিফেন্স। বদলে যায় ফোর্থ ফেজ এর মুখগুলো; আগে যারা পাশে বসতো তারা এখন হাজার মাইল দূরে--- স্কাইপ আর হোয়াটস্ -আপে।
সাত বছর--- সময়টা নেহাত কম নয়। যা কিছু নতুন শিখলাম- জানলাম--- সব কিছুর মধ্যে নিজেকে চিনতে শিখলাম; সাহা ইন্সটিট্যুট এ না এলে এগুলো এভাবে নিশ্চয় বুঝতাম না।
সব বন্ধুরা চলে গেছে-- অন্য শহরে - অন্য অন্য দেশে; এবার আমার ও যাবার পালা--- নুতন করে শুরু করার সময়।
সাত বছর --সময়টা আসলে বেশ কম। চোখের পলকে কেটে যাওয়া----ভালো-মন্দ মেশানো সহজ- কঠিন মুহূর্তগুচ্ছ।
ল্যাব থেকে যতই দূরে চলে যাই না কেন; মনের ভিতরে জ্ব্ল জ্ব্লে হয়ে থাকবে এই সময়টা আর স্মৃতিগুলো।
No matter how far I go, you will always be in my heart-----you will always be a part of me.
চমৎকার লাগল, প্রিয়াঙ্কা। নতুন পোস্টের জন্য উল্লাস প্রকাশ করব ভেবেছিলাম, পোস্টটা পড়ে কেমন মন খারাপ খারাপ লাগছে। হিংসেও হচ্ছে। পুরোনো সময়ের দিকে এত মায়া নিয়ে সবাই তাকাতে পারে না। আগামী দিনের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteThank you kuntala Di. Your opinion means a lot.
ReplyDelete