statcounter

Saturday, July 2, 2016

দুদিন

দিন ১)

সকাল পাঁচটায় কোনো অ্যালার্ম ছাড়া ঘুম ভেঙ্গে গেলে কি কি হয়।

জল খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়াটাই বেস্ট পসিবল অপশন।

কিন্তু বারান্দায় গিয়ে দেখলাম সুয্যিবাবু আকাশে উঠে বসে আছেন। সাত সকালে তার মেজাজ প্রসন্ন। ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে , যেন মরনিং ওয়াক এ বেরিয়েছে বাতাস মশাই। গাছেদেরও মুড খুব ভাল, পাতা নেড়ে নেড়ে বলছে একে অন্যকে সেটা। গাছেরা তো আর আমার মত নয়। রোজই তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায় সুয্যিবাবুর অ্যালার্মে। সুপুরি গাছে আলো পড়ে অর্ধেক পাতায় সোনালী রঙ ধরেছে, তাতে তার খুশীর সীমা নেই। সাদা মেঘগুলো আস্তে আস্তে অফিসে যাচ্ছে, সক্কাল সক্কাল নো ট্র্যাফিক জ্যাম।

এই সব দেখে খুশী মনে আবার ঘুমিয়ে পড়া গেল।

পরে দুপুর বেলা দেখলাম কয়েকটা মেঘের আমার জানলার ঠিক সামনে ডিউটি পড়েছে। সাদা জামা পরে তারা গোল হয়ে গল্প করছে। আকাশের রং শরৎকালের মত নীল। সুয্যিমশায়ের আজকে কাজ করার মন নেই। তিনি আলতো চাদর জড়িয়ে ভাতঘুম দিচ্ছেন।

বিকেলবেলা কয়েকটা বাইরের মেঘ এসে ভীড় করল। তাদের আপ্যায়ন তো করতেই হবে। তাই সুয্যিবাবু বাড়ী যাবার আগে নিজের রূপচ্ছটা বিকীর্ণ করলেন। গোধূলির মায়াবী আলোতে ভরে উঠল চারদিক। আকাশের রং নীল থেকে গোলাপী, গোলাপী থেকে বেগুনী হল। শেষে চাঁদমামা এলেন অফিসে। তার হাতে চাবি দিয়ে সূর্যিবাবু  ঘুমুতে গেলেন। গাছেরা টা টা জানালো, আর নিজেরা ঘুমিয়ে পড়ল।

দিন ২)

সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। ছাই রঙের মেঘেরা গম্ভীর ভাবে আসা যাওয়া করছে। আর মাঝে মাঝে ঝুপ ঝুপ করে জল ঝরিয়ে যাচ্ছে। সুয্যিবাবু ছুটিতে গেছেন। গাছেরা চান টান করে ঝকঝকে হয়ে অপেক্ষা করছে। আজকে সারাদিন তাদের রেনপার্টি।

দুপুরের দিকে কয়েকটা সাদা মেঘ হাওয়া খেতে বেরোল। চারপাশে আবছা আলো। সে আজকে হলুদ জামা কাচতে দিয়েছে। বাতাস ঠান্ডা ঠান্ডা। অবশেষে বর্ষা আসবে আসবে করছে।


আমিঃ
বিছানায় শুয়ে শুয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ পড়ছি দুদিন ধরে।
ইউরোপ জুড়ে সমাজবাদের পালা বদলের ইতিহাস। জার্মানী, হাঙ্গেরি, রুমানিয়া আর রাশিয়া ঘুরে লেখা।
















No comments:

Post a Comment