আজ থেকে ঠিক একমাস আগে প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে চেপে ঢোলু এলেন। সাথে তেনার মর্মরহর্ম এবং মাস পাঁচেকের খাবার দাবার (ন্তুন জায়গায় যাচ্ছি, কি সাপ ব্যাং খেতে দেবে কি দরকার রিস্ক নিয়ে !)
দেবদত্ত বলে গেল সকালে বিকেলে চারটে করে লাল- হ্লুদ-সবুজ গুলি দেবে, আর মাঝে মাঝে জল চেঞ্জ। গুলির সংখ্যা এখন ছয়। এক মাস ধরে ঢোলুকে পর্যবেক্ষন করে যা যা বুঝলাম এই বেলা লিখে রাখছিঃ
১) প্রচন্ড কুঁড়ে---সারাক্ষ্ণ কি করে জলের নীচে গিয়ে ঘুমোয় কে জানে।
২) খাবার খেতে খুব নাটক করে। শুরুতে খেতে দিলেই টপাটপ খেয়ে ফেলত, এখন তাকে সাধ্যসাধনা করেও খাওয়ানো যায় না। খাবারগুলো কে পুরো খায়ও না, ছিবড়ে করে নিচে ফেলে রাখে।
৩) বু বু করে মুখ থেকে হাওয়া বের করে আর উপরে এসে জল খায়।
৪) খুব ভিতু। বাড়ীতে কেউ না থাকলে মরে যাবার অ্যক্টীং করে পড়ে থাকে।
৫) শব্দরসিক--- ওর কাছে বসে সবাই আড্ডা দিক বা গান চালাক বা নিদেন পক্ষে ঝগড়া ক্রুক--- ঢোলু নেচে কুঁদে একশা।
৬) ঘোরতর নার্সিসিস্ট, নিজেকে দেখতে ব্যস্ত। টোকিয়ো ( ঢোলুর খাবার) যদি জারের সাইডে ভাসে তবে তার দিকে যেতে যেতে যেইনা নিজের মুখখানির প্রতিবিম্ব দেখতে পেল অম্নি খাবার ছেড়ে লাফিয়ে নিজেকে দেখতে শুরু করে দেবে। তার পর ফিন নাড়িয়ে, বাদামী- নীলচে ল্যাজ খানি বাঁকিয়ে নানা রকম করে নিজের রূপদর্শন করবে অক্লান্ত ভাবে।
৭) পড়াশুনায় কোনো মন নেই। একদিন একটা পেন দিয়েছিলাম। দৌড়ে এসে (পরুন সাঁতরে) মারল এক ঢু । পরের দিন আবার পেন দিতে নো পাত্তা। পেনটা জল থেকে তোলার সময় ওর গায়ে একটু লেগেছিল (ইচ্ছে করে নয়রে), তার পর থেকে পেন দেখলে হয় মরার অ্যক্টীং অথবা পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। আজকে একটা পেপার দিয়েছিলাম, চেয়েও দেখলনা।
পুওর ছবি---ভাগ্যিস ঢোলু দেখতে পাচ্ছে না। পারলে কক্ষনো এগুলো আপলোড করতে দিতনা। |
ঢোলুর একা একা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্ত ু ফাইটার ফিস কি আরেকটা মাছের সঙ্গে থাকতে পারে??? মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।