বিকেলের সময়টা খুব মনকেমন করা। কোনো কোনো দিন জানলার পাশে বসে বাইরের বাগানের দিকে চেয়ে চেয়ে বিকেলটা কেটে যায়। লাল চা খাই। চিনি না দিয়ে। বাইরে পাখিরা ডাকে, সারাদিনই ডাকে। মাঝে মাঝে একটা ফেরিওয়ালার ডাক শোনা যায়। ছোটবেলার মতন- আইসক্রিম। বিকেলের ধুলোবালিতে লুটোপুটি খেলা।
এই শহরে আসার আগে অনেকদিন বিকেল দেখিনি আমি।কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে চেয়ে চেয়ে দুপুর থেকে বিকেল হয়ে রাত- বোঝাই যেতো না। দিনের শুরু আর দিনের শেষ মিলে মিশে এক হয়ে যেতো।
সব ছেড়ে ছুড়ে পালানোটা বড্ড কঠিন। আসার আগে অকিঞ্চিৎকর জিনিসের জন্য মন কেমন।তাও এলাম সমুদ্রের ধারের এই ছোট্ট শহরতলীতে। সমুদের ধার দিয়ে রাস্তা চলে গেছে। কাছেই একটা নুলিয়া দের বসতি । মাছ ধরার ট্রলারগুলো পাড়ে রাখা। সমুদ্রতীরে খুব জমেছে ক্রিকেট।
আরো একটু গেলে একটা ছোট নদী, ওপরে ব্রিজ । গরমে জল নেই বললেই । নাক বরাবর হেঁটে গেলে আরেকটা অদ্ভুত ফাঁকা সমুদ্রতীর । বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হবে, অস্তগামী সূর্যের আলোয় চিক চিকিয়ে উঠেছে ঢেউ। একটা গাছের গুড়ি তে বসে থাকি।
আমার মত পথ ভুলতে ভুলতে এসেছে আরো কয়েক জন।
পথ ভুলতে ভুলতে তো পথ খুঁজে পাবো।